উত্তর: ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র বা মেয়র কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কাউন্সিলর বা অন্য কোন কর্মকর্তা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এর এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং দূতাবাসসমূহের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন অফিসার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করে থাকেন।
প্রশ্ন: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন ফরম কোথায় পাওয়া যাবে?
উত্তর: সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে বা https://bris.lgd.gov.bd/pub/ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে ফরম ডাউনলোড করা যাবে (ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন)।
প্রশ্ন: অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা যাবে কি?
উত্তর: https://bris.lgd.gov.bd/pub/ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয় বরাবর অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের প্রিন্ট কপি নিবন্ধন অফিসে দাখিল করলে নিবন্ধক জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন http://bris.lgd.gov.bd/pub/?pg=application_form।
প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে?
উত্তর: ক) পাসপোর্ট ইস্যু খ) বিবাহ নিবন্ধন গ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ঘ) সরকারী, বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগদান ঙ) ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু চ) ভোটার তালিকা প্রণয়ন ছ) জমি রেজিষ্ট্রেশন জ) ব্যাংক হিসাব খোলা ঝ) আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি ঞ) গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি ট) ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি ঠ) ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি ড) বাড়ির নক্সা অনুমোদন প্রাপ্তি ঢ) গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি ন) ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি ও ত) জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন ফির হার কত?
উত্তর: ১৮ বছরের নিচের ব্যক্তির নিবন্ধনের জন্য কোন ফি প্রদান করতে হবে না। ১৮ বছরের উপরে ব্যক্তির ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। মৃত্যু নিবন্ধনের কোন ফি লাগে না।
প্রশ্ন: বিদেশে জন্ম হলে দেশে জন্ম নিবন্ধন করা যাবে কি?
উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের ধারা-৪ অনুসারে নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীনে জন্ম গ্রহণকারী বা মৃত্যু বরণকারী অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসকারীদের জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন করা যায়। সুতরাং বিদেশে জন্ম গ্রহণ/মৃত্যু বরণকারী বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হিসেবে বিদেশে জন্ম বা মৃত্যুর যথাযথ প্রমাণ দাখিল করে দেশে স্থায়ী ঠিকানায় নিবন্ধকের নিকট হতে জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন করতে পারবেন। তদ্রুপ প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের জন্ম ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করে দূতাবাসে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।
প্রশ্ন: নতুন জন্ম নিবন্ধন কি ম্যানুয়াল খাতায় লিখতে হবে?
উত্তর: অবশ্যই না!নতুন জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ‘টুল’-এ ‘নতুনজন্ম নিবন্ধন’-বাটনে ক্লিক করলে যে পাতা পাওয়া যাবে তাতে বাংলা বা ইংরেজী বা উভয় ভাবে এন্ট্রি করে সংরক্ষণ করলেই নতুন জন্ম নিবন্ধনের পৃথক একটি করে তালিকাযুক্ত হয়ে যাবে। যে কয়টি ম্যানুয়াল খাতা অনলাইনে তৈরী করা হয়েছে তার পরের নম্বরে একটি বই সৃষ্টি হবে। এই বহির ২০০ পাতা ও প্রতি পাতায় ১২ লাইন, ২৪০০টি ডাটা এন্ট্রি হওয়ার পর সয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী নম্বরের বই তৈরী হবে।
প্রশ্ন: UISC উদ্যোক্তারা কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধন করবে?
উত্তর: UISC এর উদ্যোক্তরা Data Entry Operator, তারা ম্যানুয়াল খাতা হতে অনলাইনে এন্ট্রি করবেন। নতুন জন্ম নিবন্ধন করবেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বা Authorized Person । Authorized Person ব্যতিত অন্যান্যরা সরাসরি নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন না। তবে ‘টুল’-এ ‘জন্ম তথ্য প্রদান’ লিংকে প্রবেশ করে আবেনকারীর জন্ম তথ্য Authorized Person বরাবর প্রেরণ করতে হবে। Authorized Person সংরক্ষণ এর মাধ্যমে ঐ জন্ম তথ্য নিবন্ধন করতে পারবে।
প্রশ্ন: একই ব্যক্তি একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে কি?
উত্তর: একই ব্যক্তির অনুকূলে একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করা যাবে না। এটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর ২১ ধারা অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ।
প্রশ্ন: একজন ব্যক্তি জন্ম নিবন্ধন হয়েছে কিনা তা কিভাবে পরীক্ষা করবে?
উত্তর: অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে br.lgd.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে জন্ম তথ্য যাচাই অপশনে ব্যক্তির ব্যপন নম্বর ও জন্ম তারিখ প্রদান করে জন্ম নিবন্ধন হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ।
প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন সনদের ব্যক্তি পরিচিতি নম্বর (ব্যপন) ১৭ ডিজিটে কিভাবে রুপান্তর করতে হবে?
প্রশ্ন: ১৭ ডিজিটের কম ব্যপন নম্বর হলে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয়ে পুরাতন সনদ জমা প্রদান করে ১৭ ডিজিট ব্যপন নম্বর সম্বলিত সনদ নেয়া যাবে।
প্রশ্ন: ডাটা এন্ট্রি/জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে SAVE না নিলে কী করতে হবে?
উত্তর: একাধারে ১৫ মিনিট এর বেশি সময় BRIS-এ কোন প্রকার কার্যক্রম না করলে সফটওয়্যার অটোমেটিক Log Out হয়ে যায়, এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী কর্তৃক পুনরায় পরিচিতি নাম ও পাসওয়ার্ড প্রদান করে প্রবেশ করতে হবে।
প্রশ্ন: পাসওর্য়াড প্রদান করেও প্রবেশ করা না গেলে কী করতে হবে?
উত্তর: পাসওয়ার্ড প্রদান করার সময় ইংরেজী কী বোর্ড ব্যবহার করতে হবে। যদি বাংলা Unicode Keyboard (যেমন Avro Keyboard) Active থাকে তবে সেটা বন্ধ করে Password প্রদান করে প্রবেশ করতে হবে। অথবা কম্পিউটার Restart করে প্রবেশ করতে হবে।
প্রশ্ন: হাতে লিখা পুরাতন বহি হতে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করতে কি নতুন জন্ম নিবন্ধন অপশনে প্রবেশ করতে হবে?
উত্তর: হাতে লিখা পুরাতন বহি হতে ডাটা এন্ট্রি করার সময় “নতুন জন্ম নিবন্ধন” অপশনে প্রবেশ করতে হবে না। অনলাইনে তৈরীকৃত সংশ্লিষ্ট পুরাতন বইসমূহে প্রবেশ করে ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। কেবলমাত্র নতুন জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে টুল বক্সে উল্লিখিত “নতুন জন্ম নিবন্ধন” অপশনে প্রবেশ করে এন্ট্রি করতে হবে।
প্রশ্ন: সনদ অপশনে ক্লিক করার পরেও সনদ না এলে কী করতে হবে?
উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু সনদ PDF Format-এ Open হয়। সুতরাং Adobe Reader Software কম্পিউটারে না থাকলে Install করতে হবে।
প্রশ্ন: অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলা লেখা না হলে কী করতে হবে?
উত্তর: অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলা লেখার সময় বাংলা Unicode Software (যেমন Avro Keyboard) ব্যবহার করতে হবে।সুতরাং কম্পিউটারে বাংলা ইউনিকোড Software না থাকলে Install করে নিতে হবে।
প্রশ্ন: বিবাহিত নারীর জন্ম নিবন্ধন-এ স্বামীর নাম লিখা যাবে কি বা তার স্থায়ী ঠিকানা কীভাবে লিখতে হবে?
উত্তর: যে কোন জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পিতা ও মাতার নাম লিখতে হবে। কোন অবস্থাতে স্বামীর নাম লেখার সুযোগ নাই। বিবাহিত মহিলার স্থায়ী ঠিকানা বিবাহের পূর্বে যে ঠিকানা ছিল সেটি লিখতে হবে।
প্রশ্ন: বাংলা ও ইংরেজী সনদ একসাথে প্রদান করা যাবে কিনা?
উত্তর: বাংলা ও ইংরেজী সনদ একসাথে প্রদান করা যাবে। প্রয়োজনে কাগজের একপিঠে বাংলা ও অপরপিঠে ইংরেজী সনদ প্রদান করা যাবে।
প্রশ্ন: জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে কিনা?
উত্তর: আবেদন পত্রে লিখিত জন্ম তারিখ যথাযথভাবে প্রত্যায়িত হবার পরেই নিবন্ধিত হয়। তাই আদালতের আদেশ ব্যতিত জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা যাবে না।
প্রশ্ন: মৃত্যু নিবন্ধন কিভাবে করতে হবে?
উত্তর: ‘টুল’-এ মৃত্যু লিংকে প্রবেশ করলে প্রাপ্ত জন্ম তথ্য অনুসন্ধান পাতাটির মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির জন্ম তথ্য অনুসন্ধান করে মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে। মৃত ব্যক্তির যদি জন্ম নিবন্ধন করা না থাকে তাহলে প্রথমে জন্ম নিবন্ধন করে নিতে হবে অথবা ম্যানুয়াল খাতায় জন্ম নিবন্ধন থাকলে তা অনলাইনভূক্ত করে নিতে হবে। মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন করানো সম্ভব না হলে জন্ম তথ্য অনুসন্ধান পৃষ্টার নিচের অংশে ‘অজ্ঞাত/বিদেশী’ বাটনে ক্লিক করে প্রাপ্ত ফরম পূরণ করে মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। মৃত্যু নিবন্ধন এর জন্য অনলাইনে সয়ংক্রিয়ভাবে বই তৈরী হয়ে যাবে যা টুলের ‘মৃত্যু নিবন্ধন বই’ লিংকে ক্লিক করে দেখা যায়।
প্রশ্ন: ২০০৬ সালের পূর্বে যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে কিনা?
উত্তর: জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন,২০০৪ বিগত ৩জুলাই ২০০৬ হতে কার্যকর হয়েছে। আইন কার্যকর হওয়ার পর এই আইনের বিধান মোতাবেক কোন ব্যক্তির জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে হবে। অর্থ্যাৎ আইন কার্যকর হওয়ার দিন যারা জীবিত ছিলেন বা তার পরে যারা জন্ম গ্রহণ করেছেন তাদের জন্য এই আইন কার্যকর হবে। ২০০৬ সালের ৩ জুলাইয়ের পূর্বে যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এই আইনের অধীনে তার জন্ম নিবন্ধন করার কোন সুযোগ নেই। কোন মৃত ব্যক্তির জন্ম নিবন্ধন না হয়ে থাকলে তার মৃত্যু নিবন্ধনের পূর্বে জন্ম নিবন্ধন করা আবশ্যক। সতরাং বিদ্যমান জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের অধীনে ৩ জুলাই, ২০০৬ এর পূর্বে কোন ব্যক্তির মৃত্যু নিবন্ধন করা সঙ্গত হবেনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস